আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একত্ববাদে বিশ্বাস করে, তাঁর সার্বভৌম ক্ষমতাকে মেনে রব হিসেবে স্বীকার করে মুসলমান হবার পর থেকেই জেনেছি, আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ কেবল তাঁরই রহমতের প্রত্যাশায়, সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। আর তাই, দু’আ/প্রার্থনা করেই আমাদের রব, দয়াময় আল্লাহর কাছ থেকে জীবনের মূহুর্তগুলোর জন্য সাহায্য চাই আমরা। কীভাবে, কতটা সুন্দর আর নিপুণভাবে চাইলে আল্লাহ পছন্দ করেন — সেটা আমরা জানতে পারি পূর্ববর্তী নবী-রাসূলগণ কীভাবে আল্লাহর সাহায্য চেয়েছেন তা থেকে। তাই, পবিত্র কুরআনুল কারীমেই পাওয়া যায় সুন্দরতম মুনাজাত/প্রার্থনা/দু’আ। নিশ্চয়ই আল্লাহ বান্দার দু’আ কবুল করেন। পৃথিবীর বুকে কেবলমাত্র দু’আ আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। দু’আ হলো দয়াময় আল্লাহর অপার ক্ষমতার কাছে প্রার্থনা করে নিজের জন্য চেয়ে নেয়া। আমি প্রাত্যহিক কুরআন পাঠে যেসব দু’আ চোখে পড়ে, আল্লাহর কাছে চাইলে হৃদয় আর্দ্র হয় — তেমন কিছু দু’আ এখানে একত্রিত করার চেষ্টা করবো। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের উপর সন্তুষ্ট হোন, ক্ষমা করুন।
[১]. رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَا
** “হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর।”
—[সূরা ফুরক্কানঃ ৭৪]
[২]. رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
** “হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।”
—[সূরা বাকারাঃ ২৮৬]
[৩] رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ سَبَقُونَا بِالْإِيمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِي قُلُوبِنَا غِلًّا لِّلَّذِينَ آمَنُوا رَبَّنَا إِنَّكَ رَءُوفٌ رَّحِيمٌ
**”…হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এবং ঈমানে আগ্রহী আমাদের ভাইদেরকে ক্ষমা কর এবং ঈমানদারদের বিরুদ্ধে আমাদের অন্তরে কোন বিদ্বেষ রেখো না। হে আমাদের পালনকর্তা, তুমি দয়ালু, পরম করুণাময়।”
—[সূরা হাশরঃ ১০]
[৪] رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ ﴿٤٠﴾ رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ ﴿٤١
** “হে আমার রব! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী করো এবং আমার বংশধরদের থেকেও (এমন লোকদের উঠাও যারা এ কাজ করবে) । পরওয়ারদিগার! আমার দোয়া কবুল করো। হে পরওয়াদিগার! যেদিন হিসেব কায়েম হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতামাতাকে এবং সমস্ত মুমিনদেরকে মাফ করে দিয়ো।” —[সূরা ইবরাহিম, আয়াতঃ ৪০-৪১]
[৫] قُلِ اللَّـهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَن تَشَاءُ وَتَنزِعُ الْمُلْكَ مِمَّن تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَن تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَن تَشَاءُ ۖ بِيَدِكَ الْخَيْرُ ۖ إِنَّكَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
** “বলোঃ হে আল্লাহ! বিশ্ব–জাহানের মালিক! তুমি যাকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা দান করো এবং যার থেকে চাও রাষ্ট্রক্ষমতা ছিনিয়ে নাও। যাকে চাও মর্যাদা ও ইজ্জত দান করো এবং যাকে চাও লাঞ্ছিত ও হেয় করো। যাবতীয় কল্যাণ তোমরা হাতেই নিহিত। নিঃসন্দেহে তুমি সবকিছুর ওপর শক্তিশালী।”
—[সূরা আল-ইমরান, আয়াতঃ ২৬]
alhamdolillah
subhanallah
পিংব্যাকঃ রামাদানুল মুবারাক | নির্জলা সত্যের খোঁজে